ইরানে ইসরায়েলের হামলা: বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে তেহরান!
![]() |
তেহরানের আকাশে উত্তেজনার মুহূর্ত: ইসরায়েলের হামলার পর বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে ইরান। |
বাংলার চোখ ডেস্ক
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে তারা ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলিতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে, যা ইরানের ধারাবাহিক হামলার জবাব হিসেবে এসেছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এটি ছিল ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অংশ।
ইরানের এয়ার ডিফেন্স ফোর্স জানাচ্ছে, তেহরান, খুজেস্তান, এবং ইলাম প্রদেশে বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। তাদের দাবি, হামলাকে সফলভাবে মোকাবেলা করা হলেও কিছু স্থানে 'সীমিত ক্ষতি' হয়েছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলা সেই স্থাপনাগুলোতে পরিচালিত হয়েছে যেখানে ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কাজ চলছিল। হামলার পর তাদের বিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে। বিশেষ করে, ইরানের আকাশ সক্ষমতাকে টার্গেট করে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রক্রিয়াতেও হামলা করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানাচ্ছে, তেহরানের দুই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা সম্ভবত ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের কার্যকর হওয়ার ফল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমও রিপোর্ট করেছে যে, ইসরায়েল মধ্য ও দক্ষিণ সিরিয়ায় কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তবে, ইসরায়েল অন্য কোথাও হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া:
হোয়াইট হাউজ জানাচ্ছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, তবে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ইরানের প্রতিক্রিয়া:
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ভিন্ন চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক বেহনাম বেন তালেবলু জানিয়েছেন, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকিকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়নি।
ইরাকের পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামরিক অভিযানের মধ্যে দেশটির আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সব বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে 'আঞ্চলিক উত্তেজনার' কারণে।
সংক্ষেপে:
ইসরায়েলের হামলা ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। ইউএস প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে।
খবরঃ বাংলার চোখ
0 Comments